সিলেটে চালক এমদাদুর রহমান হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাত আসামির মধ্যে মামলা চলাকালে মারা যান দু’জন। একজন পলাতক ও রায়ের ধার্য তারিখে জামিনে থাকা চার আসামিকে কারাগারে প্রেরণ ও পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলা চলাকালে মারা যাওয়া দুই আসামি মাহতাব ও কালামিয়াকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার অজর গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে তাজ আহমদ (৩৫), পার্শ্ববর্তী ইছাপুর গ্রামের মছদ্দর আলীর ছেলে শুক্কুর (৩৫), একই গ্রামের আব্দুর রফিকের ছেলে হুছন মিয়া (৩০), মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে আব্দুর রশিদ (২০) সুলতানপুর গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে খলু (৩৫)। তাদের মধ্যে শুধু আব্দুর রশিদ পলাতক এবং অন্যরা কারাগারে আছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডিশনাল পিপি জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হাসান সাওমি।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, জকিগঞ্জের লালোপাড়া গ্রামের আব্দুল হক মাস্টারের ছেলে এমদাদুর রহমান পেশায় ট্রাকচালক ছিলেন। ২০০৭ সালের ১৪ মাচ সকালে জকিগঞ্জের ভারত সংলগ্ন কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনকালে আসামিরা এমদাদকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে তিনি পানিতে নেমে পড়েন। কিন্তু তারা তাকে ঢিল ছুড়তে থাকে। এমন অবস্থায় নদী পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে গেলে বিএসএফ সদস্যরাও তাকে ফিরিয়ে দিলে আসামিদের ছোড়া ঢিলে আহতাবস্থায় পানিতে ডুবে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে সাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই বছরের ১০ অক্টোবর জকিগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কাজি কামাল হোসেন আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর চার্জ গঠনের পর দায়রা ৩০১/০৮ মূলে মামলার বিচার শুরু হয়।
বিবাদীপক্ষে হত্যা ঘটনায় ২১ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন স্বাক্ষ্য প্রদানের পর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।